চাতলপাড়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী মহোৎসব: ভক্তিমাখা গ্রামে উৎসবের আমেজ

মুনতাসির কবির

আজ ভগবান প্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি।  ধর্মপ্রতিষ্ঠা, ভক্তের রক্ষা আর অন্যায়ের বিনাশের জন্য তিনি এসেছিলেন মানবরূপে। তাঁর বাঁশির সুর আজও মানুষের হৃদয়কে ভরে তোলে প্রেম, ভক্তি আর আনন্দে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরের ঐতিহ্যবাহী চাতলপাড় গ্রাম এ মুহূর্তে ভরে উঠেছে ভক্তিমাখা আবহে। শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দির প্রাঙ্গণে মহাসমারোহে শুরু হয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫২তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে জন্মাষ্টমী মহোৎসব।

শুক্রবার রাতেই শ্রীমদভাগবত পাঠের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী এই মহোৎসবের যাত্রা শুরু হয়। শনিবার ভোর থেকে মন্দির চত্বরে ভক্তদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে । বিকেলে গীতা পাঠ ও আলোচনা সভার পর শুরু হবে ভক্তিমূলক গীতি অনুষ্ঠান। সন্ধ্যার পর কৃষ্ণনাম কীর্তনের শোভাযাত্রা বের হওয়ার কথা রয়েছে। সে সময় ভক্তরা প্রদীপ হাতে ও ঢাক-ঢোলের তালে চাতলপাড়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করবেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে অনুষ্ঠিত হবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মহা-অভিষেক।

পুরো মন্দির প্রাঙ্গণ ভরে ওঠবে ভজন, নামসংকীর্তন আর শঙ্খধ্বনিতে। নারীরা ফুলের থালা হাতে, শিশুরা হাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে উপস্থিত হয়ে পরিবেশকে ভক্তিমাখা ও আবেগঘন করে তুলবেন। ভক্তদের কণ্ঠে কৃষ্ণনাম ধ্বনিতে চারপাশ যেন আধ্যাত্মিক আবেশের আবহ তৈরি হবে।

আয়োজক শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, আগামী রবিবার মহা-প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ মহোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। তবে ভক্তদের হৃদয়ে এর অনুরণন বহুকাল থেকে যাবে।

শেয়ার করুন