Showing posts with label ঢাকা. Show all posts
Showing posts with label ঢাকা. Show all posts
হাসনাতকে ‌‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

হাসনাতকে ‌‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর মধ্যে বাগযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ রুমিন ফারহানাকে ‘বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক অন্যতম সম্পাদক’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এনসিপির নেতাদের ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের ঘটনার পর এ কথা বলেছেন হাসনাত।

এর পাল্টা জবাবে রুমিন ফারহানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসনাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে তাকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলে গালি দেন।

সোমবার (২৫ আগস্ট) রুমিন ফারহানা ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘এটা ওই ফকিন্নির বাচ্চাটা (হাসনাত আব্দুল্লাহ) না, যে আমাকে আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক বলেছে?’ এ সময় তিনি হাসনাত আব্দুল্লাহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিভিন্ন ছবি ও প্রমাণ পোস্টে সংযুক্ত করেছেন।

পোস্টটি ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে এবং ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অসংখ্য মানুষ কমেন্টে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া ও শেয়ার করেছে।

হাসনাতকে ‌‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

এর আগে রোববার রুমিন ফারহানাকে উদ্দেশ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি কীভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করবে, তার একটি ‘টেস্ট ম্যাচ’ হয়ে গেল শুনানিতে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক রয়েছেন অনেকেই, যারা আওয়ামী লীগ থেকেও বেশি আওয়ামী লীগ। বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা।’

সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, আওয়ামী লীগের ফ্ল্যাটভোগী এবং যারা গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ঠান্ডা করে দিতে চায়, একটি প্রেসক্রিপটিভ ইলেকশনের দিকে আবার যেতে চায়, আমরা বিএনপির এই আওয়ামীবিষয়ক সম্পাদকদের বলব, আপনারা জনগণের পালসকে বুঝুন, ২৪-পরবর্তী জনগণের পালসকে বুঝুন। নতুবা আবার বাংলাদেশ সংকটের দিকে যাবে।’

সূত্রঃ কালবেলা

ফকিরদিয়া বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

ফকিরদিয়া বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

মুনতাসির কবির নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ফকিরদিয়া গ্রামে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফকিরদিয়া ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মেসার্স ইনসাফ ট্রেডার্স মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইনছাফ আলীর সভাপতিত্বে ও শেখ মনিরুজ্জামান আনসারী আবুসামার সঞ্চালনায় আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন—চাতলপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সোহরাফ খান, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহে আলম ভূঁইয়া, চাতল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আরাফাত উল্লাহ, সাবেক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলগীর হোসেন, চাতলপাড় ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সভাপতি সোহাগ ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাসাজ নাসিরনগর উপজেলা সাইফুল ইসলাম জানু, স্বেচ্ছাসেবক দল চাতলপাড় ইউনিয়নের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, কচুয়া ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ সরকার।

এ ছাড়া স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নেতারা আলোচনা করেন এবং দলকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানান।





নাসিরনগরে ‘খান্দুরা হাভেলির ইতিহাস’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

নাসিরনগরে ‘খান্দুরা হাভেলির ইতিহাস’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

 

জুয়েল খাঁ নাসিরনগর থেকে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ‘খান্দুরা হাভেলির ইতিহাস’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার চাপরাতলা ইউনিয়নের খান্দুরা হাভেলিতে এ আয়োজন হয়।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

সুফি ঐতিহ্যের দলিল

‘খানায়ে দাউড়া থেকে খান্দুরা হযরত সৈয়দ ছালেহ মুহাম্মদ (রাহ.) ও খান্দুরা হাভেলির ইতিহাস’ শিরোনামের বইটি রচনা করেছেন সৈয়দ আহমদ বখ্ত (মতিন)। বইটি প্রকাশ করেছে বিশ্ব লালন সংঘ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাজিরাতুল কুদসিয়া দরবার শরীফের পীর সৈয়দ মাসুদ বখ্ত কায়েদ (মা. আ.)। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাউসার মুস্তফা আবুল উলায়ী, অষ্টগ্রাম হাভেলির সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান (বাবু), নরপতি হাভেলির সৈয়দ লিয়াকত হাসান, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. সৈয়দ শাহ এমরান, ফান্দাউক দরবার শরিফের মুফতি সৈয়দ মঈন উদ্দিন আল হোসাইনী, নাছিরপুর দরবার শরীফের সৈয়দ আশরাফুল আবদাল মুকাল্লিদ, খান্দুরা দরবার শরীফের সৈয়দ সোহেল আবদাল, সাবেক সাংসদের পুত্র সৈয়দ সাজ্জাদ মোর্শেদ সোহান, সাংবাদিক ও গবেষক তরুণ সরকার, এবং দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সহকারী বার্তা সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী প্রমুখ।

প্রকাশক আবদেল মাননান অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন। এতে অংশ নেন খান্দুরা হাভেলিসহ বিভিন্ন হাভেলির পীর ও মাশায়েখগণ।

লেখকের বক্তব্য

সৈয়দ আহমদ বখ্ত (মতিন) বলেন, “দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন হাভেলিগুলো। এগুলো সুফিবাদ ও রাষ্ট্রীয় ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এ ঐতিহ্য তুলে ধরতেই বইটি প্রকাশ করেছি।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরজে এর নতুন কমিটি গঠিত, সভাপতি মোজাম্মেল-সম্পাদক রুবেল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরজে এর নতুন কমিটি গঠিত, সভাপতি মোজাম্মেল-সম্পাদক রুবেল

 নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন (বিআরজেএ)-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় দৈনিক নয়া দিগন্তের মোজাম্মেল হককে সভাপতি ও দেশ রূপান্তরের মাঈনুদ্দিন রুবেলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোজাম্মেল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন বিআরজেএ’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন বেলাল।

নবগঠিত কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি হয়েছেন হান্নান খাদেম (নিউ এইজ), সহসভাপতি বাবুল সিকদার (চ্যানেল এস), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুক হৃদয় (ডেইলি স্টার), সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুর রহমান নিটল (দৈনিক বায়ান্ন), অর্থ সম্পাদক মো. খোকন মিয়া (বৈশাখী টেলিভিশন), দফতর সম্পাদক মাজহারুল করিম অভি (ঢাকা পোস্ট), প্রচার সম্পাদক খন্দকার শফিকুল আলম (দৈনিক মানবকণ্ঠ) এবং নির্বাহী সদস্য হয়েছেন মো. রোকন উদ্দিন (দৈনিক সংগ্রাম) ও মো. লোকমান হোসেন (ফোকাস বাংলা)।

সভাপতি ও সম্পাদক নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করে মফস্বল সাংবাদিকতার উন্নয়ন ও সদস্যদের অধিকার রক্ষায় সমন্বিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

জনগণ বিপক্ষে গেলে সংবিধানও রক্ষা করতে পারে না-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খালেদ হোসেন মাহবুব

জনগণ বিপক্ষে গেলে সংবিধানও রক্ষা করতে পারে না-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খালেদ হোসেন মাহবুব

 

নিজস্ব প্রতিবেদক
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব বলেছেন, “জনগণ যার পক্ষে থাকে, সব শক্তি তার পক্ষে থাকে। কিন্তু জনগণ বিপক্ষে গেলে সংবিধান, আইন কিংবা পুলিশ—কেউ রক্ষা করতে পারে না।”

শনিবার (৯ আগষ্ট) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদ হোসেন মাহবুব বলেন, “২০১১ সালের উপনির্বাচন, ২০১৪, ২০১৮ কিংবা ২০২৪ সালের নির্বাচনে তারা সাময়িকভাবে বিজয়ী হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত বিজয় হয়েছে জনগণের। গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সেই বিজয় হয়েছে।”
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা হয়তো ভবিষ্যতে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন। কারও পক্ষে নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে দায়িত্ব আপনাদের ওপর দেয়া হবে, তা ঈমানি দায়িত্ব হিসেবে পালন করবেন। খেয়াল রাখবেন—জাতির কাছে যেন আপনাদের বিবেক প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।” তিনি যেকোনো প্রয়োজনে শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জহিরুল হক, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ বি এম মমিনুল হক, মো. জসিম উদ্দিন রিপন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আজম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি অবসরপ্রাপ্ত ৪১ জন শিক্ষকের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন।
ভিডিওধারণ করায় খুন হন সাংবাদিক তুহিন, দাবি পুলিশের

ভিডিওধারণ করায় খুন হন সাংবাদিক তুহিন, দাবি পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলে হামলায় নিহত হয়েছেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন(৩৮) ।  এমনই দাবি করেন পুলিশ। নিহত তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার ভাটিপাড়া গ্রামে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) মো. রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়— এক নারী ও বাদশা মিয়া নামে এক পুরুষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছিল। বাদশা একপর্যায়ে ওই নারীকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর নারীর পূর্ব পরিচিত ৪-৫ জন যুবক চাপাতি হাতে এসে ওই পুরুষকে কোপানোর চেষ্টা করে। বাদশা মিয়া পালিয়ে যান এবং পরে জয়দেবপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়া যায়।

এই ঘটনার সময় সাংবাদিক তুহিন মোবাইল ফোনে পুরো দৃশ্যটি ধারণ করছিলেন। ভিডিও ধারণের বিষয়টি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা তুহিনকে থামাতে চেষ্টা করে, ভিডিও ডিলিট করতে বলে। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তাকে ঘটনাস্থলেই কুপিয়ে হত্যা করে।

জানা গেছে, গাজীপুর নগরের বাসন, ভোগরা ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি চক্র আছে, যারা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। হামলাকারীরা ওই চক্রেরই সদস্য।

ডিসি রবিউল হাসান বলেন, ‘সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার কারণ ছিল ঘটনাটির ভিডিও করা। একজন বাদশা মিয়াকে কোপাতে গেলে, তুহিন তা মোবাইলে ধারণ করছিলেন। সেই কারণেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পেছনে আপাতত অন্য কোনো মোটিভ পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।’

ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশের দোকান ও বাসার নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া

নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হলেই দেশে আসবেন তারেক রহমান

নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হলেই দেশে আসবেন তারেক রহমান

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হলেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসবেন বলে সমকালকে জানিয়েছেন তার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে তারেক রহমান প্রার্থী হতে পারেন একাধিক আসনে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এসব তথ্য জানান তিনি।


হুমায়ুন কবির বলেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। চলতি বছরের ১৩ জুলাই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

তিনি জানান, একান্ত এই বৈঠকে আগামী নির্বাচন ও সরকার গঠন নিয়ে বিএনপির ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে জয় পেলে কেমন দেশ গড়তে চায় বিএনপি কিংবা নির্বাচনী রুপরেখা নিয়েইবা দলটির ভাবনা কী? এমন সব মৌলিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন তারা।

গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চাইল ইসি

গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চাইল ইসি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিগত তিন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাওয়ার প্রেক্ষিতে এসব কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়েছে ইসি। সম্প্রতি ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়। 

ইসি সূত্র বলেছে, এর আগে দায়েরকৃত এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করার স্বার্থে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ইসির কাছে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের তথ্য চেয়েছিল। এরপর নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চেয়েছে। ইসি এসব তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারসহ সব জেলা প্রশাসকের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে। তথ্য আসার পর তা পিবিআইকে দেওয়া হবে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারসহ সকল জেলা প্রশাসককে ইসির পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিএমপি এর শেরেবাংলা নগর থানার মামলা সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)  ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর সকল জেলা বা সকল মেট্রোর নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটদের নাম, ঠিকানা, পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বরের তথ্য সরবরাহের জন্য অনুরোধ করে।

প্রসঙ্গত- এর আগে বিগত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের তথ্য চেয়েছিল পিবিআই।

শুক্রবারে করণীয়: এই দিনে রাসুল (সা.) যা করতেন

শুক্রবারে করণীয়: এই দিনে রাসুল (সা.) যা করতেন

শুক্রবার ইসলাম ধর্মে একটি অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন দিন। পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসে এই দিনের বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। এই দিনে জুমার নামাজ, দরুদ পাঠ, গোসল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে যেমন এই দিনে কিছু আমল করতেন, তেমনি তিনি তাঁর উম্মতদেরও তা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন।


প্রথমত, এই দিনে পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করা এবং পরিষ্কার কাপড় পরা সুন্নাত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত মুসলিমের উচিত প্রতি শুক্রবার গোসল করা, মিসওয়াক করা এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করা।” (সহিহ মুসলিম)


দ্বিতীয়ত, শুক্রবার সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত নূর বিচ্ছুরিত হবে এবং তা পরবর্তী জুমা পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে।” (আল-মুস্তাদরাক)


তৃতীয়ত, এই দিন দরুদ শরিফ পড়া ও বেশি বেশি জিকির-আসকারে মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেছেন, “তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি করে দরুদ পাঠ করো, কেননা সেই দিন আমার কাছে তোমাদের দরুদ পেশ করা হয়।” (সুনানে আবু দাউদ)


চতুর্থত, জুমার নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোরআনে বলা হয়েছে, “হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আহ্বান দেয়া হয়, তখন আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো।” (সূরা জুমু’আ: ৯)


পঞ্চমত, শুক্রবারে এমন একটি মুহূর্ত থাকে যখন বান্দার দোয়া কবুল হয়। রাসুল (সা.) বলেন, “জুমার দিন একটি বিশেষ সময় আছে, সে সময়ে কোনো মুসলমান আল্লাহর কাছে কোনো কল্যাণ প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা কবুল করেন।” (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)


ষষ্ঠত, এই দিনে পরিবারের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানো এবং গরিব-দুঃখীদের প্রতি সদয় হওয়াও ইসলামের শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসাফাহা, হাসিমুখে কথা বলা ও মানুষকে উপকারে আসাকে ঈমানের অঙ্গ বলে বর্ণনা করেছেন।


সপ্তমত, জুমার দিন দুনিয়াবি কাজকর্ম থামিয়ে কিছু সময় কোরআন পাঠ ও ইবাদতে মগ্ন হওয়া বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। এটি শুধু নেকি অর্জনের সুযোগই নয়, বরং আত্মার প্রশান্তি লাভের মাধ্যম।


অষ্টমত, জুমার দিন আল্লাহর রহমত, বরকত ও মাগফিরাত লাভের বিশেষ সুযোগ। এদিন গুনাহ মাফ, জান্নাতের আশাবাদ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রার্থনা করার আদর্শ সময়। এই দিনকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য।