Showing posts with label নিত্যদিন. Show all posts
Showing posts with label নিত্যদিন. Show all posts
চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজে নবগঠিত গভর্নিং বডির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা, শিক্ষার মানোন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান

চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজে নবগঠিত গভর্নিং বডির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা, শিক্ষার মানোন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান

 

মুনতাসির কবির
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজে নবগঠিত গভর্নিং বডির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলেজের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ সভায় নতুন কমিটিকে স্বাগত জানানো হয় এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

মানিরুল হোসাইন ও কাজী জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন নবগঠিত গভর্নিং বডির সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন (তুহিন)।

গভর্নিং বডির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—বিদ্যুৎসাহী সদস্য: অ্যাডভোকেট মো. আরাফাত উল্লাহ, দাতা সদস্য: হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া হিতুসি সদস্য: ওয়াসিম ভূঁইয়া, অভিভাবক সদস্য: মো. আলাউদ্দীন মিয়া, মো. এনামুল হক, মো. নজরুল ইসলাম, শিক্ষক প্রতিনিধি: মো. রহমত আলী, মোছা. সালমা খানম

সভায় প্রধান অতিথি এম এ হান্নান বলেন, “চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ এই অঞ্চলের শিক্ষার আলোকবর্তিকা। আমরা চাই নতুন গভর্নিং বডির নেতৃত্বে কলেজটি আরও এগিয়ে যাক।”

সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছির বলেন, “শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সবার সহযোগিতায় আমরা শিক্ষার মানোন্নয়নে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেব।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা নবগঠিত গভর্নিং বডিকে অভিনন্দন জানান এবং কলেজের সার্বিক উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

ফকিরদিয়া বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

ফকিরদিয়া বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

মুনতাসির কবির নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ফকিরদিয়া গ্রামে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফকিরদিয়া ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মেসার্স ইনসাফ ট্রেডার্স মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইনছাফ আলীর সভাপতিত্বে ও শেখ মনিরুজ্জামান আনসারী আবুসামার সঞ্চালনায় আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন—চাতলপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সোহরাফ খান, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহে আলম ভূঁইয়া, চাতল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আরাফাত উল্লাহ, সাবেক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলগীর হোসেন, চাতলপাড় ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সভাপতি সোহাগ ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাসাজ নাসিরনগর উপজেলা সাইফুল ইসলাম জানু, স্বেচ্ছাসেবক দল চাতলপাড় ইউনিয়নের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, কচুয়া ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ সরকার।

এ ছাড়া স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নেতারা আলোচনা করেন এবং দলকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানান।





সড়ক নয়, কষ্টের করিডর: তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় পাহাড়ি জনপদের দুর্ভোগ

সড়ক নয়, কষ্টের করিডর: তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় পাহাড়ি জনপদের দুর্ভোগ

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত কুমারী এলাকা যেন একটি অপরূপ প্রকৃতির ঝাঁপি। উঁচু-নিচু পাহাড়, সবুজের ছায়া আর প্রাণবন্ত জনজীবনে ভরা হলেও এলাকাবাসীর প্রধান দুর্ভোগের নাম—একটি তিন কিলোমিটার কাঁচা সড়ক।


এই সড়কটি কুমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে শুরু হয়ে সাইল্যাচর বৌদ্ধ বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত। বছরের বেশিরভাগ সময়ই এই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে, বিশেষত বর্ষাকালে এটি পরিণত হয় কর্দমাক্ত এক বিপজ্জনক পথে।


সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বড় অংশজুড়ে রয়েছে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দ। স্থানীয়দের ভাষায়, বর্ষার মৌসুমে রাস্তাটি যেন হাঁটাচলার চেয়েও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কোনো যানবাহনের চলাচল তো অসম্ভব, এমনকি পায়ে হেঁটে চলাও নিত্য ঝুঁকিপূর্ণ।

সাইল্যাচর এলাকার বাসিন্দা মিন্টু মারমা বলেন, “এতদিনেও কেউ এই রাস্তাটার দিকে তাকায়নি। কাদা মেখে হেঁটে স্কুল, হাসপাতাল, বাজার—সবই যেতে হয়। যেন আমরা উন্নয়নের বাইরে পড়ে আছি।”


এই এলাকাটি কৃষিনির্ভর হওয়ায় স্থানীয় কৃষিপণ্য পরিবহনেও বড় সমস্যা হয়। ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে নিতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে নিয়মিত স্কুলে যাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।


উষাপ্রু মারমা নামের এক স্কুলছাত্রী জানায়, “বর্ষাকালে কাদা আর পানি আমাদের জুতা-কাপড় ভিজিয়ে দেয়। অনেক দিন স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না।”পাড়া কার্বারী উসামং মারমা বলেন, “রোগী হলে কাঁধে করে নিতে হয় হাসপাতালে। স্কুলের শিশুদের অবস্থা আরও করুণ। এটা যেন আমাদের ভাগ্যেরই অংশ।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য কংচাইরী মারমা জানান, “ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডি বরাবর আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি আজও।”


মানিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী মাসুদুর রহমান বলেন, “আমরা সড়কটি দেখে এসেছি। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার শুরু করা হবে।”


অত্যন্ত জরুরি এই যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের অপেক্ষায় এলাকাবাসী দিন গুনছে। তাদের একটাই প্রত্যাশা—চলাচলের মতো একটি রাস্তা অন্তত পেতে চায় তারা, যা তাদের মৌলিক অধিকার হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত।