প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হাওড়ের চরে বিষ প্রয়োগে তিন হাজার হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামসংলগ্ন হাওড়ের পতিত চরে এ ঘটনা ঘটে। হাঁসগুলো ছিল খামারি শামসু মিয়ার। ওই খামারের ছিল ডিমওয়ালা ও বাচ্চাসহ প্রায় পাঁচ হাজার হাঁস।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টেকানগর গ্রামের শামসু মিয়া পাঁচটি খামারে প্রায় পাঁচ হাজার হাঁস লালন পালন করতেন। খাঁমারটি টেকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে লঙ্গন নদীর তীরে। প্রায় ২৫ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেন। পুঁজির সব টাকাই এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া।
স্থানীয়রা বলছেন, এটি যে নাশকতা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারা এই অমানবিক কাজ করেছে, তা খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি শামসু মিয়া জানান, প্রায় এক দশক ধরে তিনি হাঁসের খামার চালাচ্ছেন। এনজিও আশা, ব্র্যাক ও কৃষি ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে খামার করেন। বিষ প্রয়োগের ফলে রাত থেকে হাঁস মরতে শুরু করছে, এখনও মরতেছে। আমি এখন কী করব? ঋণের টাকা শোধ করব কীভাবে?’ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
খামারের কর্মী আব্দুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো হাঁসগুলোকে খাবার দিয়ে তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। পরে খামারে ফিরে এসে দেখেন বেড়া দেওয়া জাল উল্টানো, চারদিকে বিষের গন্ধ। সে সময় তিনি একজনকে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন বলেও জানান।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুতুল রানী বলেন, বিষয়টি খুবই দুখজনক। আমরা খামারিকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সকল সহযোগতীতা করবো।
সাংস্কৃতিক ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী মো.আরিফুল ইসলাম বলেন, শামসু ছিলো নাসিরনগর উপজেলার একজন সফল খামারি। তার এমন পরিণতি নতুন উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহীত করবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. শুভজিৎ পাল বলেন, ‘বিষ প্রয়োগে হাঁস মারা যাওয়ার বিষয়ে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাকে আইনগত সকল সহযোগীতা দিবো।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি শামসু মিয়া জানান, প্রায় এক দশক ধরে তিনি হাঁসের খামার চালাচ্ছেন। এনজিও আশা, ব্র্যাক ও কৃষি ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে খামার করেন। বিষ প্রয়োগের ফলে রাত থেকে হাঁস মরতে শুরু করছে, এখনও মরতেছে। আমি এখন কী করব? ঋণের টাকা শোধ করব কীভাবে?’ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
খামারের কর্মী আব্দুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো হাঁসগুলোকে খাবার দিয়ে তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। পরে খামারে ফিরে এসে দেখেন বেড়া দেওয়া জাল উল্টানো, চারদিকে বিষের গন্ধ। সে সময় তিনি একজনকে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন বলেও জানান।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুতুল রানী বলেন, বিষয়টি খুবই দুখজনক। আমরা খামারিকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সকল সহযোগতীতা করবো।
সাংস্কৃতিক ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী মো.আরিফুল ইসলাম বলেন, শামসু ছিলো নাসিরনগর উপজেলার একজন সফল খামারি। তার এমন পরিণতি নতুন উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহীত করবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. শুভজিৎ পাল বলেন, ‘বিষ প্রয়োগে হাঁস মারা যাওয়ার বিষয়ে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাকে আইনগত সকল সহযোগীতা দিবো।
খবর বিভাগঃ
অর্থনীতি
চট্রগ্রাম
নাসিরনগর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সারাদেশ